গামার এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নাম: Gmelina arborea Linn.পরিবার: Verbcnaccaeইংরেজি নাম: Chandahar Tree , Cashmere Tree , Comb ...
গামার এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নাম: Gmelina arborea Linn.পরিবার: Verbcnaccaeইংরেজি নাম: Chandahar Tree, Cashmere Tree, Comb Teak, White Teak ইত্যাদি.
পরিচিতি
গামার মাঝারি আকারের পত্ররা গাছ, ১৫০ মিটারের মতো উঁচু হয়ে থাকে। গাছের বাকল ধূসর, হলুদ বা সাদা। পাতা বড়, ২৩-২৪ সে.মি. লম্বা ১৫-১৬ সে.মি. চওড়া এবং বোঁটা ৮ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। শীতকালে পাতা ঝরে যায় আবার বসন্তে সবুজ পাতায় গাছ ভরে যায়। শীতের শেষে ফেব্রুয়ারি-মার্চে হারকা হলুদ বণের ফুল এবং গোলাকৃতি ফল মে-জুন মাসে পাকে। কিছু ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও পাকলে হলুদ হয়। প্রতিটি ফলে একটি করে বীজ থাকে।
বিস্তিৃতি
মিয়ানমার এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। তবে দেশের বসর্বত্র এটি চাষ হতে পারে এবং বৃদ্ধিও অপেক্ষাকৃত ভালো এই গণের প্রজাতির সংখ্যা ২।
ঔষধি ব্যবহার
১। মায়ের অপুষ্টির কারণে গর্ভের শিশুটি পুষ্টি পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ৫/৬টি গামার ফল অল্প পানিতে সেদ্ধ করে তারপর বেটে তার সাথে চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে একবার করে দুই সপ্তাহ মাকে খাওয়াতে হবে। এতে সম্ভাব্য অসুবিধা দূর হবে।
২। মায়ের অপুষ্টিতে স্তন্যপায়ী শিশুটিও ভুগছে, শকিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ২টি গামার ফল সেদ্ধ করে বেটে পানিতে গুলে ছেঁকে পানি ৬ ঘন্টা অন্তর দিনে দুবার ৫/৭ দিন খাওয়ালে উল্লেখযোগ্য উপকার পাওয়া যাবে।
৩। রক্ত আমাশয় সরাতে ২/৩টি গামার ফলের রস করে তার সাথে ২ চা চামচ ডডালিমের রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল-বিকাল দু’বার খেতে হবে (Bhattacharia,1980)।
৪। রক্তপিত্তের কারণে রক্তবমি হলে ৫/৬টি গামার ফল সেদ্ধ করে বেটে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে একবার করে খেলে দু’দিনের মধ্যে রক্ত ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
৫। গামারের মূল এবং মূলের ছাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং কৃমিনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (QJCDR, 1970)।
COMMENTS