বকুল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi Linn.পরিবার: Sapotaceaeইংরেজি নাম: Elengi/Indian Medlar পরিচিতি বকুল একটি মধ্...
বকুল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi Linn.পরিবার: Sapotaceaeইংরেজি নাম: Elengi/Indian Medlar
পরিচিতি
বকুল একটি মধ্যমাকৃতির চিরহরিৎ বৃক্ষ। এর সুষম আকৃতি ও সুগন্ধি ফুলের জন্য এটি সকলের কাছে আকর্ষনীয়। গাছ কখনো কখনো ১৫-১৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড সরল, বাকল ধূসর ও অমসৃণ। পাতা কালচে সবুজ ও ঘন; ১০-১২ সে.মি. লম্বা ও ৫ সে.মি. চওড়া হয়। এপ্রিল-জুন মাসে ছোট ছোট সাদা ফুল ফোটে। শিউলি ফুলের ন্যায় বকুল ফুল তাজা অবস্থায় ঝরে পড়ে। তবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়, পচে না। কাঁচা ফল সবুজ কুলের মতো, পাকলে হলুদ হয়।
বিস্তার
ভারত, বাংলাদেশে ও মিয়ানমার বকুলের আদি বাসভূমি। এই গণে প্রজাতির সংখ্যা ৫৭।
ঔষধি গুনাগুন
বকুল ছাল ট্যানিন ও মোম বিদ্যমান। তাই দাঁত ও মাঢ়ীর রোগে এটি কার্যকর।
১। দাঁতের যন্ত নিতে না জানলে ছোট ছেলেমেয়েদের এমনকি বড়দেরও দাঁতের মাঝখানে গর্ত হয়ে গিয়ে যন্ত্রণা হয়। এমন অবস্থায় ১০ গ্রাম বকুল ছাল নিয়ে ছেঁচে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন রাতে ২ বার ৭/৮ চা চামচ করে মুখে নিয়ে ১০/১৫ মিনিট রাখতে হবে। এবং কুলকুচা করে ফেলে দিতে হবে। এভাবে ১৫/২০ দিন নিয়মিত ব্যবহারে দাঁতের পোকায় আর কষ্ট দিতে পারবে না।
২। অকালে দাঁত নড়ে গেছে, পড়ে যাবে। এ অবস্থায় ২০/২৫ গ্রাম বকুল ছাল ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।, এটি ক্বাথ তৈরি হল। প্রথমে ২/৩ টিপ পরিমাণ পিপুল গুঁড়ার সাথ ১০/১৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে আক্রান্ত দাঁতের গোড়ায় লাগাতে হবে। এবং ৫/৭ মিনিট পরে ঐ ক্বাথ মুখে নিয়ে ৭/৮ মিনিট করে রাখতে হবে। এভাবে ১০/১২ দিন ব্যবহার করলে নড়া দাঁত বসে যাবে। এছাড়াও কাঁচা বকুল ফল কিছুদিন চিবিয়ে দেখবেন দাঁতের গোড়া শক্ত হয়ে গেছে। তা না হলে কাঁচা ফল শুকিয়ে সেই গুকনো ফলের শাঁসের গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজলে অকালে দাঁত নড়বে না বা পড়বে না।
৩। অপুষ্টিজনিত শুক্রতারল্যে ৫০০ গ্রাম পাকা বকুল ফল বীজ ও খোসা বাদে চটকে ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে ৩ দিন ঢেকে রেখে দিলে পরে পাতলা ন্যাকড়ায় পুঁটলি বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে ফোঁটা ফোঁটা রস (বকুলের সিরাপ) পড়বে। এ সিরাপ ১ চা চামচ করে প্রতিদিন খাওয়ার পর ১ বার করে খেলে ১৫/২০ দিনের মধ্যে শুক্রতারল্য কেটে যাবে।
৪। শ্বেতী কঠিন রোগ, সহজে সসারে না। তবে আয়ুর্বেদে এর কার্যকরী বিধান আছে। ১০০ গ্রাম বকুল ছাল ছেঁচে এক লিটার পানিতে সেদ্ধ করে, আধালিটার থাকতে নামিয়ে ছেঁকে আবার এটি জ্বাল দিয়ে ৩০ মি.লি. থাকতে নামিয়ে ঘন ক্বাথ তৈরি করতে হবে। এই ঘন ক্বাথে বকুল বীজ চন্দনের মতো বেটে ঐ দাগে লাগাতে হবে। এতে ঐ দাগগুলো ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাবে।
৫। ছোট শিশুর পায়খানা হচ্ছে না কয়েকদিন, কান্নকাটি করছে। এ অবস্থায় বকুল বীজের শাঁস খোলে শুধু বীজের খোসা মিহি গুঁড়া করে, পুরোনো ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে পানের বোঁটায় লাগিয়ে শিশুর মলদ্বারে দিলি ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে পায়খানা হয়ে যাবে।
৬। প্রাতিদিন কয়েকটি করে পাকা বকুল ফলেরর শাঁস খেরে পুরোনো আমাশায় রোগের উপশম হয়।
Chemical Composition
Bark contains–(a) tannins (b) wax (c) colouring matter : starch.
Fruit Contains–(a) tannins (b) saponin & (c) sugers.
Seeds contains–(a) fixed oil & (b) saponin (Ghani 2003).
COMMENTS