তুলসী এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নামঃ Ocimum basilcum Linnপরিবারঃ Labiataeইংরেজি নামঃ Common Basil পরিচিতি তুলসীর অর্থ যার তুলনা ন...
তুলসী এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ocimum basilcum Linnপরিবারঃ Labiataeইংরেজি নামঃ Common Basil
পরিচিতি
তুলসীর অর্থ যার তুলনা নেই। তুলসী ঘন শাখা-প্রশাখাসহ ২/৩ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি চিরহরিৎ গুল্ম। তুলসীর মূল -কাণ্ড কাষ্ঠল পাতা বর্ষাকৃতি, বোঁটাসহ লম্বায় ৪.৯-৯.৫ সে.মি. এবং চওড়া ২.৫-৪.০ সে.মি. পর্যন্ত হয়। পাতার কিনারা অনিয়মিত খাঁজকাটা ও ডেউ খেলানো । শাখা- প্রশাখার অগ্রভাগ হতে পাঁচটি পুষ্পদণ্ড বের হয়। প্রতিটি পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ছাতার ন্যায় আকৃতি অনুসারে ১০-২০টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে ৬টি করে ছোট ছোট ফুল ফোটে। তুলসী পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে। কালচে পাতাবিশিষ্ট একই পরিবারভুক্ত আরো এক ধরনের তুলসী গাছও দেখা যায়। এটি অপেক্ষাকৃত উঁচু হয়। এটির নাম কালো তুলসী।
বিস্তৃতি
বাংলাদেশে ও ভারতের প্রায় সর্বত্র বিক্ষিপ্তভাবে তুলসি গাছ দেখা যায়। বিশেষ করে প্রত্যেক হিন্দু ধর্বাবলম্বীর বাড়িতে তুলসি গাছ পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কিছু এলাকায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তুলসীর চাষ কেরা হয়।
ঔষধি গুন
তুলসী গাছের স্পর্শযুক্ত হাওয়া সংক্রামক ব্যাধিকে দূরে রাখে বলে প্রাচীনকাল থেকেই ধারণা প্রচলিত। নব্য মতে অবশ্য এটি Anti-bacterial.
১। অনেক শিশু আছে প্রাায়ই সর্দি-কাশিতে ভোগে। তাদের প্রতিদিন সকালে ৫-১০ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খাওয়ালে উপশম হয়। শুধু শিশুরা নয় যে কোনো বয়সেই এটি ব্যবহারে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। (Chopra et al, 1956).
২। তুলসীর পাতার রস পানিতে ভিজিয়ে চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবজনিত সমস্যা খুব উপকার হয়।
৩। হাম বা বসন্তের কালো গাগে তুলসীর পাতার রস ব্যবহার করলে শরীরের কালো দাগ চলে যায়। আবার হাম বা বসন্ত উঠতে দেরি করলে পাতার রস খেলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। পাতার রসে লবণ মিশিয়ে দাদে ব্যবহার করলে উপশম হয়।
৪। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হলে কোনো গন্ধ পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তুলসীর শুস্ক পাতা গুঁড়োর সস্যি ব্যবহার করলে সেরে যায়।
মোট কথা কফের প্রাধান্যে যেসব রোগের সৃষ্ট হয়, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি কার্যকর।
অন্যান্য ব্যবহার
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের যে কোনো পূজা-অর্চনায় তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া অনেকে তুলসীর কাষ্ঠল অংশ দিয়ে মালা তৈরি করেও অনেকে গলায় ধারণ করে।
উল্লেক্য যে, ভারতের পশ্চিমবেঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় এ মালা তৈরির একটি কুটিরশিল্প গড়ে উঠেছে এবঙ এখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে বছরে প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকার মালা চালান হয়।
COMMENTS