করলা এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নামঃ Momordica charantea Linn.পরিবারঃ Cucurbitaceaeইংরেজি নামঃ Bitter Gourd পরিচিতি করলা একটি বর্ষ...
করলা এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Momordica charantea Linn.পরিবারঃ Cucurbitaceaeইংরেজি নামঃ Bitter Gourd
পরিচিতি
করলা একটি বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এটি তিক্ত স্বাদযুক্ত অতি সমাদৃত একটি সবজি (ফল)। চিকন কাণ্ড অন্য গাছ, মাচা বা বেড়া আশ্রয় করে আকর্ষির সাহাস্যে আঁকড়ে ধরে বেড়ে ওঠে। পাতা সরলভাবে ৫-৭ খণ্ডে আংশিক বিভক্ত। করলার পুরুষ ও স্ত্রীফুল আলাদা এবং ভিন্ন ভিন্ন পত্রকক্ষে ফোটে। প্রায় সারা বছরই করলার ফুল ও ফল হয়। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ফলন বেশি । ফল ৩-১০ সে.মি., কখনো ২০ সে.মি. পর্যন্ত হয়। ৫-৭ সে.মি. লম্বা বোঁটার করলা ফল দুই দিকে সরু তবে মাঝখানে মোটা, উপরিভাগে ত্রিভুজাকৃতির অসংখ্য বুটি আছে।
বিস্তৃতি
করলার এ উপমহাদেশেই উৎপত্তি বলে বাংলাদেশের সর্বত্রই এর চাষ হয়। এদেশে এর অনেক জাত রয়েয়ে। গাছ খাটে এবং ফল ছেট জাতকে উচ্ছে বলা হয়। এটি অপেকক্ষাকৃতি বেশি তিক্ত।
ঔষধি গুন
১। গুঁড়া কৃমির উপদ্রবে ছোট-বড় অনেকেই অস্বস্তির অবস্থায় পড়েন। অনেক সময় কুটকুট করে কামড়ায়, এজন্য বারবার পিছনে হাত দিতে হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ১-২ চা চামচ করলা/উচ্ছে পাতার রস অল্প পানি মিশিয়ে সকাল-বিকাল দু’বার খেতে হবে।
২। করলার মধ্যে যে তিক্ত উপাদান (Bitter priciples) আছে, তা মুখের স্বাদ ও ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ ছাড়া খাবার গ্রহণে অনীহা বা অরুচি হলে ১ চা চামচ পাতার রস সকাল-বিকাল দু’বার খেলে সেরে যাবে।
৩। এক এক জনের এক খাবারে এজার্জি। কারো ইলিশ বা বেগুন কারো চিংড়ি বা ডিম ইত্যাদি। এলাজি দেখা দিলে পাতার রস ২ চামচ দু’বেলা খেতে হবে। তবে এলার্জি বাড়ায় এমন খাবার পরিহার করতে হবে।
৪। পুরোনো ঘা শুকাচ্ছে না, এক্ষেত্রে করলা শুকিয়ে গুঁড়া করে ক্ষতে লাগাতে হবে। আবার লতাপাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে ঘা শুকিয়ে যাবে।(IJP,1961)।
৫। করলা গাছে Peptide নামক Insulin রয়েছে (Chevallier,1996) এবং এটি Mellitus নামক ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় (IJMR,1960)। সে কারণে পাতার রস ২ চা চামচ করে সকাল-বিকাল খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এখানে খাওয়াদাওয়া পরিমিত পরিমাণের বেশি কোনোক্রমেই গ্রহণ করা যাবে না।
৬। সবন্ত রোগে ০.৫-১৩ গ্রাম হলুদের গুঁড়ার সাথে ১ চা চামচ করলা পাতার রস গরম করে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এত করে গুটি তাড়াতাড়ি বেরোবে এবং গুকোবে। আবার সুস্থ হওয়ার পরে ফোড়া ওঠার যে আশঙ্কা থাকে তা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। আক্রান্ত অবস্থায় হাত -পা জ্বালা করলে পাতার রস হাত-পায়ে লাগাতে হবে। এত জ্বালাপোড়া থাকবে না।
COMMENTS