কুঁচ এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নামঃ Abrus precatorius (Lunn) Wight.পরিবারঃ Papilionaceae.ইংরেজি নামঃ Indian Liquorice পরিচিতি অযত...
কুঁচ এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Abrus precatorius (Lunn) Wight.পরিবারঃ Papilionaceae.ইংরেজি নামঃ Indian Liquorice
পরিচিতি
অযত্নসম্ভূত এই লতানো গাছটি দেশের সব জেলাতে অল্পবিস্তর দেখা যায়। নরম লতায় ৫ সে.মি. পর ১০-১২ জোড়া পত্রক বিপরীত দিকে সুন্দরভোবে সাজানো থাকে। পুষ্পদণ্ডে বর্ষাকালে ঘন ঘন অনেক গোলাপি রঙের ফুল ধরে। ফল শীতকালে পাকে। বীজ সাধারণত লাল, মাথায় কালো চিহ্ন থাকে। ফলের আবরণ আয়তাকার ফাঁপা; প্রতি ফলে ৩-৫টি বীজ থাকে। বীজের রং সাধারণত লাল হলেও এর লতায় কালো, সাদা, লাল ইত্যাদি ৩/৪ রঙের বীজ হতে দেখা যায়।
বিস্তৃতি
বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এটি দেখা যায়। বিশেষ করে পার্বত্র অঞ্চলে এটি বেশি চোখে পড়ে। এই গণের ১২ টি প্রজাতির ৩টি আমাদের দেশে আছে।
ঔষধি গুন
১। না জেনে অরুচিকর খাবার খেয়ে ফেলেছেন, বমি করে ফেলা দরকার। এক্ষেত্রে ৩.৪ গ্রাম কুঁচের মূল বেটে হালকা গরম এক কাপ পানি মিশিয়ে খেয়ে ফেললে তাৎক্ষণাৎ বমি হয়ে যাবে এবং অস্বস্তিও কমে যাবে।
২। বংশগত ধারা ব্যতীত অন্য কোনো কারণে মাথায় টাক পড়লে ২/১টি সাদা কুঁচ চন্দনের মতো ঘষে হালকা করে মাথায় লাগাতে হবে। এত উপকার পাবেন।
৩। খোসপাঁচড়া কিছুতেই সারতে চায় না , এমন অবস্থায় ১০০ গ্রাম তিলের তেল গরম করে ফেনা চলে গেলে তাতে ১০ গ্রাম কুঁচ বাটা দিয়ে ভেজে ছেঁকে পুরোনো খোসপাঁচড়ায় লাগালে সেরে যাবে।
৪। ধূলি-ধোঁয়া, রৌদ্র বা শ্লেষ্মাজনিত কারণে শিরঃপীড়া হলে সাদা কুঁচফল মিহি গুঁড়া করে ২/১ টিপ নস্যি দিনে হাঁচি বা সর্দি বা শিরঃপীরা স্বাবাবিক হবে।
৫। গুঁড়া কৃমির উপদ্রবে যেমন অহরহ ছেলে-বুড়োরা ভেগে তেমনি বিধানের অন্ত নেই। কুঁচের ব্যবহারও তার মধ্যে একটি। ১টা কুঁচ থেঁতো করে রাতে ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিনে সকালে ২/৩ দিন খেলে উপদ্রবটা চলে যাবে।
COMMENTS