কলমি শাক এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নামঃ Ipomoea reptans Poir. Syn. I. aquatica. পরিবারঃ Convolvulaceae ইংরেজি নামঃ Swamp Cabbage....
কলমি শাক এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ipomoea reptans Poir.
Syn. I. aquatica.
পরিবারঃ Convolvulaceae
ইংরেজি নামঃ Swamp Cabbage.
পরিচিতি
কলমির পরিচয় করানের কিছু নেই। এটি গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রেই পুকুর বা অন্য যে কোনো জলাশয়ে জন্মে। লতিয়ে পানির উপর বেড়ে চলে। এর অন্য নাম কলম্বী। কে অর্থ পানি, আর পানিতে যে লম্ব হয়ে বা লতিয়ে বেড়ে চলে সেই কলম্বী। এর ডাঁটা ফাঁপা, ফিকে লালচে। ডাঁটার গিরা থেকে একটি করে পাতা লম্ব বোঁটাসহ গজায়। পরিপক্ব গিরা থেকে নতুন কুশি/আগা গুচ্ছাকারে বের হয়। পাতাগুলি ময়লা সবুজ রঙের এবং আকৃতি অনেকটা পানিকচু পাতার মতো। গোড়ার দিকটা ছড়ানো ও আগার দিকটা সরু। তবে আকারে কচুর পাতার তুলনায় অনেকটা ছোট। বর্ষাকালে হালকা বেগুনি রঙের ফুল ফোটে। ফুলের আকৃতি ধুতরা ফুল বা ফানেলের মতো। বর্ষার শেষে ফল ধরে। বর্ষাকালে শিমুলের আঠার মতো এক প্রকার আঠা কলমি শাকে জন্মে, এগুলোর মধ্যে কীট জন্মে। এগুলো আবার শরৎকালে চলে যায়। এ কারণে বৈদিকশাস্ত্র মতে, শয়ন একাদশী (উল্টোরথের পরদিন) থেকে উথান একাদশী (রাস পূর্বের একাদশী) পর্যন্ত কলমি শাক খাওয়া নিষেধ।
বিস্তৃতি
বাংলাদেশের সর্বত্রই যে কোনো জলাশয়ে কলমি দেখা যায়।
ঔষধি গুণ
শাস্ত্রে আছে ষড়ঋতুর রোগ প্রতিরোধ করে কলমি শাক। ভেষজের জগতে কলমি শাকের রয়েছে আশ্চর্য সক কার্যকারিতা এবং দূর্লভ সব ঔষধি গুণ। এ কারণে আবহমান বাংলায় কলমি শাকের চাষ হয় গৃহস্থ বাড়ির কাছেই, যাতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
১। অনেক সময় শিশুর মল কঠিন হয়ে গেলে কান্নাকাটি করে। দিনে এক-আধবার ঘুমারেও রাতে ঘুমাতে চায় না। অনেকের বিশ্বাস রাতে জন্মালেই বুঝি এরকম হয়, তা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে খানিকটা বিশুদ্ধ গরম দুধের সাথে ২০/২৫ ফোঁটা কলমি শাকের রস মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে তাড়াতাড়ি স্বস্তি ফিরে পাবে।
COMMENTS