কুল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুন পরিচিতি কুলের উক্ত প্রজাতিটি মাঝারি ধরনের পত্রঝরা বৃক্ষ। এটি উচ্চতায় ৮- ১০ মিটার হয়। ্রএর ৫০ টি প্রজাতি আছে এর অ...
কুল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুন
পরিচিতি
কুলের উক্ত প্রজাতিটি মাঝারি ধরনের পত্রঝরা বৃক্ষ। এটি উচ্চতায় ৮- ১০ মিটার হয়। ্রএর ৫০ টি প্রজাতি আছে এর অনেকগুলি ঝোপঝার আকৃতির। কুলের শাখা-প্রশাখা নিম্নমুখী, প্রতি পাতার বোঁটার গোড়ায় একটি করে কাঁটা থাকে। ফল কাচা অবস্থায় সবুজ পাকলে হলদে বা লালচে হয়। কুলের প্রজাতির ধরনের উপর নির্ভর করে ফলের আকার।
ঔষধি গুণ
ভেষজ হিসেবে কুলের একাধিক ব্যবহার আছে। পেটের পীড়া, বদহজম, পেট ফাঁপা, আমাশয়, ডায়রিয়া এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যেও কুলের ব্যবহার স্বীকৃত।
১। কাদা কাদা দাস্ত, পেটে দুগন্ধও থাকে এরূপ অতিসারে ১০-১৫ গ্রাম শুকনো কুল তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ পানির সাথে একটু সাদা দই এবং ২/১ চা চামচ ডালিমের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। পাতলা পায়খানা কয়েকবার হওয়ার পর রক্ত পড়লে (রক্ত আমাশয়) এবং সাথে আম (Mucus) গেলে কুল গাছের ২ গ্রাম কাঁচা ছাল বেটে তার সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে ২/৩ দিনের মধে সেরে যায়।
৩। কুলে Essential oil রয়েছে যা বায়ুনাশক ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই পেটে বায়ু ও খেতে অরুচি হলে শুকনো কুল ও গোলমরিচের গুঁড়ার সাথে সৈন্ধব লবণ ও চিনি মিশিয়ে মাঝে মাঝে চেটে খেলে পেটের বায়ু কমবে এবং অরুচিও সারবে।
৪।কুল খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা ও বমি বমি ভাব দূর হয়। কোষ্ঠবদ্ধতায় ১৫ গ্রাম শুকনো কুল ৩/৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে ছেঁকে অল্প লবণ বা চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।
৫। কাঁচা ছাল ডায়রিয়ায় ব্যবহৃত হয় বলে বিসিএসআইআর- এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
৬। মহিলাদের শ্বেতপ্রদর বা রক্তপ্রদরে বিচি বাদে ৫ গ্রাম শুকনো কুলের সাথে একটু আখের গুড় মিশিয়ে ৮/১০ দিন খেলে উপশম হয়।
৭। বোলতা, ভিমরুল বা যে কোন কীটের হুলের বিষের জ্বালা ও ফুলায় যজ্ঞডুমুর ও কুলের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে জ্বালা -যন্ত্রণার উপশম হয়।
৮। অনেক সময় ফোড়ায় কোনো মুখ হয় না, পাকেও না, লাল হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কুলের পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপকার হয়।
৯। মুখের ভিতরে ঘা হলে, ছোট ছোট ফুসকুড়ি পড়ে লাল হয়ে থাকলে (মুখের হাজা) ৫/৭ গ্রাম কুলের পাতা ৩/৪ কাপ পানিতে সিদ্ব করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেই পানি মুখে নিয়ে ৫/৭ মিনিট রেখে ফেলে দিতে হবে। েএভাবে ২/৩ বারে ২০-২৫ মিনিট ঐ পানি ব্যবহার করলে ২/৩ দিনের মধ্যেই মুখের হাজা সেরে যায়।
১০। কুল কাঠের কয়লা ভাল করে গুঁড়া করে তা দিয়ে প্যাড করে শয্যা ক্ষতে বেঁধে দিলে ঐ ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
COMMENTS