আঁশফল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নামঃ Euphoria longana Stendপরিবারঃ Sapindaceaeইংরেজি নামঃ Dragon's eye পরিচিতি আঁশফল গাছ ও প...
আঁশফল এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নামঃ Euphoria longana Stendপরিবারঃ Sapindaceaeইংরেজি নামঃ Dragon's eye
পরিচিতি
আঁশফল গাছ ও পাতা অনেকটা লিচু গাছ সদৃশ। গাছটি প্রায় ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্রদণ্ডে ৫/৭টি পত্রক থাকে; পত্রক ৩০ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা ও ৭ সে.মি. চওড়া হয়। ফুলের কুঁড়ি হলুদ ও সাদা রঙের। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এর ফুল ও এপ্রিল মাসে ফল হয় । ফল অনেকটা ছোট আকারের লিচুর মতো তবে খোসা আঁশ জাতীয়।
বিস্তৃতি
আধুনিক উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে আঁশফলের আদি বাস মালয় উপদ্বীপ। বাংলাদেশে এটি কোনো শৌখিন মানুষের বাগান বা উদ্ভিদ উদ্যানসমূহে দেখা যায়। এই গণে প্রজাতির সংখ্যা ২৫টি।
ঔষধি গুণ
১। পাকা আঁশফলে ১.৪২% প্রোটিন ও ৪৫% চর্বি আছে। সে কারণে যে কোনো দুর্বলতায় ভুগলে ৪/৫ চা চামচ ফলের রস প্রতিদিন সকারে বা বিকেলে একবার করে খেলে দুর্বলতা কমে যাবে। ফলের খোসায়ও একই ধরণের খাদ্যপ্রাণ রয়েছে বিধায় যে মৌসুমে পাকা ফল পাওয়া যায়, তখন এই খোসার গুঁড়া মিহি করে ১ কাপ গরম দুধে মিশিয়ে ছেঁকে একবার করে খেলে শরীরে কর্মশক্তি ফিরে আসবে।
২। অগ্নিমান্দ্য আপাতদৃষ্টিতে কোনো রোগ মনে না হলেও কোনো গুরুত্ব না দিলে পরে কঠিন ব্যাধিতে আক্রমণ করে। তাই এটিকে হালকাভাবে নেবেন না। এ অবস্থায় ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশফলের গুঁড়া প্রতিদিন খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে হালকা গরম পানিসহ খেয়ে দেখুন; অসুবিধা আর থাকবে না।
৩। গুঁড়া বা ঝুরা কৃমির উপদ্রব আর অস্বস্থিকর কথা ভুক্তভোগীদের বলার দরকার নেই। এটির উপদ্রব দেখা দিলে বয়সের উপর ভিত্তি করে আধা থেকে এক চা চামচ ফলের গুঁড়া হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খালিপেটে একবার প্রয়োজনে দু’বার করে কয়েকদিন খেলে উপদ্রব আর থাকবে না।
৪। আজকাল বারবার দাস্ত ও বমি হরে সাথে প্রস্রাব কম হরে, বুঝতে কারও বাকি থাকে না যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আঁশফলের রস খুব উপকারী, ২/৩ চা চামচ পরিমাণ রস ২ বার ৩ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে ডায়রিয়ার উপশম হবে।
৫। আঁশফলের ছালে ট্যানিনের পরিমাণ ১২.৩%। এ ট্যানিন ক্ষতস্থানের কোষের বহিস্থ। আমিষের অধঃক্ষেপিত করে একটি পাতলা আবরণ তৈরি করে এবং ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলে (Ghani, 2002। সে কারণে ছাল ছেঁকে কোনো ক্ষতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
COMMENTS