পিত্তরাজ এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নাম: Aphanamixis polystachya parker.পরিবার: Meliaceaeইংরেজি নাম: pithraj tree পরিচিতি এটি একটি...
পিত্তরাজ এর উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নাম: Aphanamixis polystachya parker.পরিবার: Meliaceaeইংরেজি নাম: pithraj tree
পরিচিতি
এটি একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ পত্রাচছাদিত বৃক্ষ; ১০-১১ মিটার উঁটু হয়ে থাকে। ছাল ধূসর বর্ণের, পুরু ও ভিতরের দিকটা হালকা লাল। পাতা ৩০-৫০ সে.মি. লম্বা অনেকটা চাঁপাফুলের পাতার মতো। পত্রদণ্ডের উভয় দিকে সমান্তরালভাবে পাতা হয় আর অগ্রভাগে একটি থাকে। পুষ্পদণ্ডে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল ফোটে। ফল গোলাকার, মসৃণ ও ফিকে পীতবর্ণের। ফলের বীজ উজ্জ্বল রক্তবর্ণের। এ বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়। বর্ষাকালে ফুল পরে ফল হয়। এটিকে পিতরাজ, রোহিতক বা রয়নাও বলা হয়। ফল পাকলে ছাল ফেটে যায় তখন ভিতরের বীজ দেখা যায়।
বিস্তার
ভারত, বাংলাদেশ এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এটি দেখা যায়।
ঔষধি গুনাগুন
১। অনেকের শরীরে মোটা হওয়ার ধাঁচ এমনকি না খেলেও শরীরের ওজন কমে না বা ভারী হওয়া বন্ধ হয় না অর্থাৎ ছৌল্য রোগ হয়েছে। এদের গায়ের উপরের অংশ (ঊরু) ও নিতম্ব ভারী হয়ে যায়, এ রোগে ৫/৭ গ্রাম আন্দাজ পিত্তরাজ ছাল থেঁতো করে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ নির্যাসটুকু সমপরিমাণ পানিতে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এতে শরীরের স্থুলতা কমবে।
২। মেয়েদের রক্তপ্রদর রোগ শুরু হওয়ার অল্প দিনের মধ্যে মূলের ছাল ৫ গ্রাম ভালো করে থেঁতো করে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে আধ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেই নির্যাসে দ্বিগুণ দুধ মিশিয়ে সকাল-বিকাল দু’বার করে সপ্তাহখানেক খেলে এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
৩। অর্শরোগ রোগীদের জন্য একটি অভিশাপ। রক্তার্শে মাঝে মাঝে রক্তদাস্ত হয়, পিপাসা থাকে এবং সাথে অরুচিও হয়। এক্ষেত্রে ৫ গ্রাম আন্দাজ মূলের ছাল ছেঁচে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ নির্যাসে সমপরিমাণ দুধ মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। সপ্তাহকানেক একত্রে খেলে অর্শের উপশম হয়।
৪। খাদ্যবাহী নালি ব্যতীত রক্তবাহী শিরাতেও এক জাতের কৃমি জন্মে, এদের বাসও রক্তবাহী শিরায়। এদের সহজে দমন করা যায় না। এদের দমন করতে পিতরাজের মূলের ছাল ৫ গ্রাম আন্দাজ থেঁতো করে ৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সমপরিমাণ দুধ মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। সপ্তাহখানেক এভাবে খেলে কৃমি দমন হবে।
৫। পুরুষের প্রস্রাবের রং প্রথমে খড়-ভেজানো-পানির মতো, পরে আরো গাঢ় এবং শেষে লাল হলে বুঝতে হবে এটি মেহ রোগের লক্ষণ। এক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মে মূরের নির্যাস সমপরিমাণ দুধে মিশিয়ে খেতে হবে। ৪/৫ দিনে এভাবে খেলে এ রোগের উপশম হবে।
Chemical Composition
(a) Aphanamixin (b) Aphanamixol (c) Aphananixinine (Bhattachaia, 1980).
COMMENTS