বৈজ্ঞানিক নামঃ Bauhinia purpurea Linn.পরিবারঃ Caesalpiniaceaeইংরেজি নামঃ Mountain Ebony, Butterfly tree পরিচিতি Bauhinia purpurea/রক্তকাঞ্চন...
বৈজ্ঞানিক নামঃ Bauhinia purpurea Linn.পরিবারঃ Caesalpiniaceaeইংরেজি নামঃ Mountain Ebony, Butterfly tree
পরিচিতি
Bauhinia purpurea/রক্তকাঞ্চন মাঝারি আকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। গাছের ছাল ধূসর বর্ণ ও ফাটা-ফাটা। মার্চ মাসে ফুল ও বর্ষকালে ফল হয়। ফুলের পাপড়ি লাল ও পীতবর্ণমিশ্রিত; ফল/শুঁটি শক্ত ও চ্যাপ্টা, প্রতিটি শুঁটিতে ১০-১৫টি বীজ থাকে। কাঞ্চন পাতা দেখতে উটের পায়ের ন্যায়, তাই ইংরেজিতে এ গাছটিকে Camel’s Foot Tree বলা হয়। আবার দুই সহোদয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী জন ও কেসপার বহিনের নামানুসারে বৈজ্ঞানিক নামকরণ হয়েছে Bauhinia । বাহারি ফুলের জন্য এর সমাদর ব্যাপক। শ্বেত কাঞ্চনের ফুল ফোটে বর্ঘাকালে, ফল হয় শীতকালে।
বিস্তার
পাশ্চাত্র উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, সমস্ত উষ্ণ বা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই গণের ১৩৫টি প্রজাতি বিদ্যমান। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৬টি প্রজাতি রয়েছে। এদের কোনোটির ফুল সাদা, লাল বা পীতবর্ণের।
ঔষধি গুনাগুন
১। পূর্বেই বলা হয়েছে অরুচি কোনো রোগ নয় । তবে এটি বেশিদিন থাকলে ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে। তাই অরুচিতে ভুকগলে সাদা বা লাল কাঞ্চন ফুলের এক চা চামচ রস আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।
২। অস্বাভাবিক দুশ্চিনাতা, শোক বা আহারজনিত অপুষ্টির কারণে স্মৃতি হ্রাস পেতে পারে। এমন অবস্থায় স্মৃতিশক্তি ফিরে পেতে হলে কাঞ্চন পাতা টুকরা করে পানিতে সেদ্ধ করে প্রথমে ক্বথ তৈরি করতে হবে, পরে ঐ ক্বাথ দিয়ে ঘি পাক করে ছেঁকে প্রতিদিন ২ চা চামচের সাথে ১/৪ কাপ দুধ মিশিয়ে খেতে হবে।
৩। আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়ে থাকে। এটি যথাসময়ে সারিয়ে তুলতে না পারলে গলায় ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। এ রোগে ১ চা চামচ কাঞ্চন মূলের ছালের রস ও ২৫০ মি.গ্রা. বেলশুঁঠ অল্প দুধ বা পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ২/৩ বার করে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই গলগণ্ড প্রশমিত হবে।
৪। রক্ত আমাশয়ের সাথে পরিচিত নয় এমন লোকের সংখ্যা যেমন কম নয় তেমনি এটি সারাতে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বিধানেরও অন্ত নেই। এক্ষেত্রে ৫০০ মি.গ্রা. কাঞ্চন ফুল গুঁড়া দু’ভাগ করে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেলে সেরে যাবে। বিবেচনা করে এটি ৩ বার পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।
৫। মাথাধরা বিশেষ কোনো কারণ নেই আবার Analgesic ছাল টুকরা করে ৩-৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে খেতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিনদিন করে কিছুদিন খেলে মাথাধরা সেরে যাবে।
৬। মহিলাদের মাসিকের নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে স্রাব বেশি হওয়া একটি। এরূপ ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার ৫/৭ দিন আগে থেকেই প্রতিদিন ৪/৫টি কাঞ্চন ফুলের কুঁড়ি (লাল কাঞ্চন হলে ভাল) চিবিয়ে বা বেটে খেতে হবে। এতে স্রাবটা স্বাভাবিক হবে। সতেজ ফুলের অভাবে ফুল শুকিয়ে গুঁড়া করে রেখে ৪/৫টি ফুলের সমপরিমাণ গুঁড়া প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে।
৭। অর্শ রোগের বেদনা বা শূলনীর যন্ত্রণায় যদি অস্থির হয়ে থাকেন তবে ৫০০ মি. গ্র. কাঞ্চন ছালের গুঁড়া সদ্যপাতা দই দিয়ে প্রতিুদন একবার, প্রয়োজনে সকাল-বিকাল দু’বার খাবেন। এতে অর্শের জ্বালা-যন্ত্রণা দূর হবে।
৮। কাঞ্চন চালে ট্যানিন বিদ্যমান। এ ট্যানিন ক্ষতস্থানের সংস্পর্শে এলে ক্ষতকলার বহিস্থ প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে অধঃক্ষেপিত হয় ও পাতলা ঝিল্লি তৈরি করে এবং এভাবে ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলে(Ghani, 1999) পচা-দূষিত ক্ষত কাঞ্চন গাছের ছাল সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে পচন দোষটা থাকবে না বরং ক্ষতটা ভালো হয়ে আসবে। তখন অন্য ওষুধ ব্যবহার করলে ক্ষতস্থান সেরে যাবে।
Chemical Composition
Bark contains a) tannic acid, b) glucose c) gum (Said, 1996). Flower contains a) quercitin, b) isoquercitin c) astragatin (CS, 1967; Tiwari, et al, 1979).
COMMENTS