মটকিলা এর উপকারিতা ও ঔষুধি গুণাগুণ বৈজ্ঞানিক নাম: Glycosmis pentaphylla Corr.পরিবার: Rutaceaeইংরেজি নাম: Tooth brush plant বিবরণ glycosmis p...
মটকিলা এর উপকারিতা ও ঔষুধি গুণাগুণ
বৈজ্ঞানিক নাম: Glycosmis pentaphylla Corr.পরিবার: Rutaceaeইংরেজি নাম: Tooth brush plant
বিবরণ
glycosmis pentaphylla/আশশেওড়া শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট গুল্মজাতীয় একটি ছোট উদ্ভিদ। পাতা আকার অনেকটা কালোজামের মতো, তবে বর্ণ গাঢ় সবুজ এবং ওপরের দিক মর্সণ। ১-৫টি পত্রাংশ থাকে তাই Pentaphylla ফল গুচ্ছ সাদা, পাপড়ি ৪-৫টি, পুংকেশর ১০টি। ফল কড়াই শুঁটির মতো, কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে পাটল বর্ণের হয়। ফলে ১-৩টি লম্ভাকৃতি বীজ থাকে। নভেম্বর মাসে ফুল ও মার্চে ফল হয়। এটিকে গ্রামবাংলায় অঞ্চলভেদে মটকিলা বা আসকুলিও বলা হয়।
বিস্তার:
ভারত ও মালয়েশিয়ায় এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের সর্বত্র, সাধারণত পতিত ভিটায় দেখা যায়। এ গণে প্রজাতির সংখ্যা ৬০।
ব্যবহার:
১। দীর্ঘদিন অজীর্ণ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে পানির সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম আশশেওড়ার মূলের ছাল বেটে পানির সাথে মিশিয়ে কয়েকদিন সকালে ও বিকালে প্রতিদিন দু’বার খেলে পুরোনো অজীর্ণ রোগে উপকার পাবেন। এ বিধানের পরিবর্তে কাঁটা মূলের ছাল বেটে ছোট ছোট ২৫০ মি.গ্রা. (২ রতি পরিমাণ) বড়ি করে শুকিয়ে রেখে খেলেও চলবে।
২। গুঁড়া কৃমির উপদ্রবে এ গাছের ৩ গ্রাম ছাল মিহি করে বেটে পানিতে মিশিয়ে অথবা ছাল থেঁতো করে ১০ ফোঁটা করে ২/৩ দিন খেতে হবে। উপদ্রব না কমলে মাত্রা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মাত্রা অর্ধেক হবে (Bhattacharia, 1980)।
৩। বয়ঃসন্ধিকালে অনেকের মুখমণ্ডলে ব্রণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আশশেওড়া কাঠ চন্দনের মতো মাখলে ব্রণ কমে যায়।
৪। বগল ও কৃঁচকিয়ে ঘামে বিশ্রী গন্ধ ও কাপড়ে দাগ হলে আশাশেওড়া কাঠের মিহি গুঁড়া ২৫ গ্রাম আশশেওড়া গাছের ছাল মিহি করে বেটে ঐ তেলের সাথে মিশিয়ে ভেজে দিয়ে প্রতিদিন একবার গায়ে মাখলে ৩/৪ দিনের মধ্যে চুলকানির উপশম হবে।
Chemical Composition
Leaves & root bark contain- (a) alkaloids (b) triterpenes (c) sterols (d) sugars (e) phlobaphene & (f) tannin etc. (Bhattacharia, 1980).
COMMENTS