আনারসের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন বৈজ্ঞানিক নাম: Ananas Comosus Merr.পরিবার: Bromeliaceaeইংরেজি নাম: Pineapple পরিচিতি আনারস একটি অতি পরিচিত...
আনারসের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন
বৈজ্ঞানিক নাম: Ananas Comosus Merr.পরিবার: Bromeliaceaeইংরেজি নাম: Pineapple
পরিচিতি
আনারস একটি অতি পরিচিত ফল এবং গাছ। এটি বর্ষজীবী একবীজপত্রী উদ্ভিদ। কাণ্ড সরু, ২৫-৩০ সে.মি. লম্বা হতে পাবে। তলোয়ারের আকৃতির পাতা কাণ্ডের চারধারে মুকুটের ন্যায় সাজানো থাকে। কোনো কোনো জাতের আনারসের পাতা করাতের ন্যায় কাঁটাযুক্ত, ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা ও ৫-৭ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া হয়। পত্রময় কাণ্ডের অগ্রভাগ থেকেই মাংসল মঞ্জরীতে আনারসের ফুল হয়। মাংসল মঞ্জরীই ফ এবং এর চারদিকে ১০০-২০০টি পর্যন্ত ফুল হয়। উদ্ভিদতত্বে এ ফলকে সরোসিস (Sorosis) বলা হয় জুন-জুলাইতে ফুল হয়। কাঁচা সবুজ রঙের ফল পাকলে হলুদ এবং টকযুক্ত মিষ্টি হয়।
বিস্তার
ব্রাজিল আনারসের আদি নিবাস। এই গণে প্রজাতির সংখ্যা ৫টি। বাংলাদেশের ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে প্রচুর আনারস চাষ হয়।
চাষ
উষ্ণ ও আদ্র্র্র জলবায়ু এবং বেলে দো-আঁশ বা পাহাড়ি লাল ও কিছুটা অম্লত্বক মাটিতে আনারস ভালো হয়, তবে মাটি সুনিকাযুক্ত হতে হবে। অল্প ছায়াযুক্ত স্থানেও এটি জন্মাতে পারে। আনারসের মাথায় একটি এবং বোঁটার চারধারে অনেকগুলো চারা বের হয়। এগুলো বর্ষাকালে লাগালে নতুন গাছ হয় এবং এতে ফলন ভালো হয়। আনারসের বীজ ছোট, ডিম্বাকৃতি ও চ্যাপ্টা; এতে কোনো গাছ হয় না। সমতলভূমিতে ছোট ছোট উঁচু বেড তৈরি করে ৬০ সে.মি. দূরত্বে ও ৩০ সে.মি. দূরত্বে সারি এবংসারিতে ১০-১৫ সে.মি. দূরে চারা লাগানো যায়। রোপণকালে প্রতি গাছের জন্য ৪০০ গ্রাম গোবর, ৫০ গ্রাম খৈল, ১০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০গ্রাম ছাই এবং এরপর প্রতি বছর গাছপ্রতি ৩০ গ্রাম ইউরিয়া, টিএসপি ও ২০ গ্রাম এম.পি সার প্রয়োগ প্রয়োজন।
ঔষুধি ব্যবহার
১। আনারস পাতার রস শক্তিশালী কৃমিনাশক ও হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করে
(ক) গুঁড়া কৃমির উপদ্রব এমন একটি সমস্যা যখন এগুলো মলদ্বারে এসে সুড়সুড় করে তখন অনেক সময় জনসমক্ষে লজ্জায় পড়তে হয়। তাই এর অশু প্রতিকার প্রয়োজন। এ অবস্থা হলে আনারস পাতার নিচের শাখা অংশ ছেঁচে ১-২ চামচ রস সকালে খালি পেটে খেলে উপদ্রব কমে যাবে, তবে রসের সাথে প্রয়োজনমতো লবণ মিশিয়ে নিলে ভাল হয়।
(খ) পাতা বা পাকা আনারসের রসে পরিমাণমতো লবণ ও গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপার উপশম হয়।
২। অতিরিক্ত গরমে রৌদ্রে পুড়ে বা ঘেমে ঠাণ্ডা পারি পান করে বা বিশ্রাম না নিয়েই গোসল করে অনেকে ঠাণ্ডা লাগিয়ে ফেলেন। ফলে জ্বর বা কাশি হয়। এ কাশিতে পাকা আনারসের রস ৭-৮ চামচ খেতে হয়।
৩। আনারস গাছের মূল বা কচিপাতা ছেঁচে ১ চা চামচ রসে অল্প পানি মিশিয়ে খেলে মূত্রকৃচ্ছ্র রোগ সেরে গিয়ে প্রস্রাব ভাল হবে।
৪। মৌসুমে পাকা আনরসের আধাকাপ রস সকালে-বিকালে খেলে যেকোনো ধরনের অপুষ্টি সেরে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে এতে অম্লরোগ বা এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে।
Chemical Composition
a) Carbohydrates (b) Protein (c) Fat (d) Mineral matter-calcium, Phosphorus, iron, engyme & bromalin (d) Vitamin-A&C (Bhattacharia, (1980).
COMMENTS