বৈজ্ঞানিক নাম:Abutilon indicum Sweet.পরিবার: Malvaceaeইংরেজি নাম:Indian Mallow পরিচিতি: পেটার বা অতিলতা একটি সাধারণ আগাছা হিসেবে পরিচিত বর্ষ...
বৈজ্ঞানিক নাম:Abutilon indicum Sweet.পরিবার: Malvaceaeইংরেজি নাম:Indian Mallow
পরিচিতি:
পেটার বা অতিলতা একটি সাধারণ আগাছা হিসেবে পরিচিত বর্ষজীনী উদ্ভিদ। এর শাখা-প্রশাখা সরু, কাষ্ঠল এবং পাতা পানের ন্যায় হৃৎপিণ্ডাকৃতি, অগ্রভাগ সরু, কিনারা নরম ও অগ্রভাগ কাঁটা কাটাাঁ। ফুল ২-৩ সে.মি. লম্বা, হলুদাভ বা কমলালেবুর রঙের হয় এবং সন্ধ্যার দিকে ফোটে। প্রায় সারা বছরই ফুল ও ফল হয়। ফল চক্রাকার গোল, বাইরর দিকটা কাঁটা কাঁটা তাতে ১৫/২০টি বীজ থাকে এবং পেকে গেলে আপনাআপনি ঝরে পড়ে। অঞ্চলভেদে এটিকে ঝুমকা বলা হয়।
বিস্তার
ভারত, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ এর আদি আবাসস্থল। তবে বাংলাদেশে জংলা বা পতিত ভিটায় অযত্নে জন্মাতে দেখা যায়। এই গণে প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ১০০টি।
বংশবৃদ্ধি:
সাধারণত বংশবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে না। তবে প্রয়োজন হলে বীজ থেকে নতুন চারা তৈরি করা য়ায় সহজেই।
ঔষধি ব্যবহার:
পেটারি বা অতিলতার ব্যবহার সম্পর্কে আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভিট্টাচার্য তারঁ চিরঞ্জীব বনৌষধি গ্রন্থে দশম খণ্ডে লিখেছেন, ‘অতিলতায় লোকন্যবহার এত প্রাচীন এবং বংশানুক্রমিক চলে আসছে যে, বাংলার চিকিৎসক পরিবার এই একমাত্র অতিলতা নামক ভেষজটি দিয়ে কঠিন কঠিন রোগ অল্প দিনে সারিয়ে দেন।’ এ বর্ণনা থেকে পেটারির কার্যক্ষমতা সম্বন্ধে অনুমান করা যায়।
১। পেটারি জ্বর নিবারক হিসেবে কাজ করে। দিব্যি খাচ্ছেদাচ্ছে ঘুসঘুসে জ্বর কখনো থাকে কখনো থাকে না।ওষুধ খেয়ে দেখেছেন জ্বর একেবারে ছেড়ে যায় না। আবার ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড বা যক্ষাও নয়। এ ক্ষেত্রে পেটারির মূল বা বীজ ব্যবহার করতে পারেন। পেটরির মূল বা গাছ শুকনা হলে ৫ গ্রাম বা কাঁচা হলে ১০ গ্রাম আন্দাজ নিয়ে থেঁতো করে ৩-৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে দেড় কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ ক্বাথ দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অথবা ২ গ্রাম বীজ গুঁড়া দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে মাসখানেক ব্যবহার করলে জ্বরটা ছেড়ে যাবে এবং শরীরও সবল হবে।
২। জীবনী বা যৌবনীশক্তির স্বল্পতায় ভুগতে থাকলে শরীর-মন দুটিই অবসন্ন হয়ে পড়ে। কাজেকর্মে মন বসে না। এক্ষেত্রে ৫ গ্রাম পেটারি বীজের গুঁড়া ২৫০ মি.লি. দুধ ও ৩-৪ চামচ চিনি একসাথে মিশিয়ে মাস দু্ই খেয়ে দেখুন। এতে দ্রব্যশক্তি বা গুণাগুণ বুঝতে পারবেন।
৩। হৃদ দৌর্বল্যে বা লাবণ্যহীনতায় উক্ত নিয়মে পেটারি বীজ গুঁড়া মাসখানেক ব্যবহার করলে দেহ ও মনে লাবণ্য বা প্রফুল্ল ভাব ফিরে আসবে।
৪। অনেকের সারা বছরই সর্দি থাকে। ওষুধ ব্যবহার করলে কিছুটা কমে, আবার যে সেই। এ ক্ষেত্রে ১ গ্রাম পরিমাণ পেটারি বীজ বা মূল গুঁড়া চায়ের সাথে প্রতিদিন ২/৩ বার মাসখানেক খেলে সর্দিটা চলে যাবে। এরপর মাঝে মাঝে এটি খেতে থাকবেন তাতে সর্দিটা আর আসতে পারবে না।
৫। পেটারিতে Aspargin রয়েছে, এটি প্রস্রাবের পরিমান বাড়ায়, আর মূত্রাশয়ে পাথর হলে প্রস্রাবের পরিমান কমে যায়, প্রস্রাবে কষ্ট হয়, টনটন করে। প্রথম অবস্থায় ২ গ্রাম পেটারি মূল গুঁড়ার সাথে ৩-৪ চা চামচ পাথরকুচির রস মিশিয়ে সকাল-বিকাল ২-৩ মাস খেতে পারলে পাথর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যাবে।
৬। কোনো প্রকার ক্ষত বা ফোড়ায় পেটারির পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে পাতা বাটার প্রলেপ দিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
৭। পেটারির পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে মুখ ধুলে দাঁত ও ফোড়ার যন্ত্রণা লাঘব হয়।
Chemical Composition
Leaves and other areal parts contain–a) mucilage b) tannin c) flavonoids d) glucosides e) saponin f) asparagin g) alkanol h) beta-sitos terol i) sequiterpens j) lactones k) tocopherol l) essential oil & m) eugenol (shubramanean & nair, 1970; sharma & ahmed, 1989; chevallier, 1996; ahmed et al, 2000).
COMMENTS