বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum Linn.পরিবার: Punicaceaeইংরেজি নাম: pomegranate পরিচিতি ডালিম গাছের সাথে বাংলাদেশের কমবেশি সকলের পরিচিতি আছে। ...
বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum Linn.পরিবার: Punicaceaeইংরেজি নাম: pomegranate
পরিচিতি
ডালিম গাছের সাথে বাংলাদেশের কমবেশি সকলের পরিচিতি আছে। এটি ঘন শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট একটি গুল্ম, যার উচ্চতা ৩-৫ মিটার। গাছের ছাল ধূসর বর্ণের, পাতা ৪- ৮ সে.মি. লম্বা ও ফুল লাল বর্ণের হয়ে থাকে। সকল ডালিম গাছের ফল হয় না; কারণ এ ধরনের গাছে শুধু পুরুষ ফুল হয়। যে গাছে ডালিম ধরে তাতে স্ত্রী-পুরুষ উভয় প্রকারের ফুল হয়। সাধারণত মে মাসে ফুল আসে আর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ফল পাকে। ডালিম ফল অনেকটা গোলাকার, ফলের খোসা চামরার মতো, বর্ণ বাদামি হলুদ। ফলের মধ্যে একাধিক বীজ থাকে। বীজের বাইরে রসালো লাল বর্ণের শাঁস থাকে, এ রস স্বাদে মিষ্টি কষায়। অঞ্চল ও দেশভেদে ডালিমের আকৃতি-প্রকৃতিতে স্বাদের ভিন্নতা হয়ে থাকে। গাছপ্রতি ১০০-২০০টি ফল ধরে। উন্নত জাতের ডালিমকে বেদানা বা আনার বলে। এ জাতের ডালিম আমাদের দেশে সাধার্যণত জন্মে না।
বিস্তার
উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে আফ্রিকা ডালিমের আদি নিবোস। ভারত-বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এটি কমবেশি চাষ হয়।
চাষ:
বংশবিস্তার হয়। সব ধরনের মাটিতে ডালিম ফলে। চারা ৪ মিটার দূরত্বে ৪৫ কি.মি. চওড়া ও ৪৫ সে.মি. গভীর গর্ত করে প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর, ৩০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৩ কেজি ছাই মিশিয়ে রোপণ করতে হয়।
ঔষধি গুনাগুণ:
১। ডালিম ফলের রসের সাথে অল্প বিটলবণ ও মধু একত্রে মিশিয়ে কুলকুচা করে ফেলে দিলে অরুচি চলে যায় এবং মুখে রুচি আসে।
২। ডালিমের কাচাঁ খোসা ৫/৬ গ্রাম আন্দাজ বার্লির সাথে সেদ্ধ করে খেলে আমাশয়ের ভালো কাজ দেয়। কাঁচা খোসার অভাবে অর্ধেক ওজনের শুকনো খোসা দিতে হবে।
৩। ডালিম গাছের শেকড়ের ছালে iso-pelletierine রয়েছে, যা ফিতাকৃমি দমনে সাহায্য করে, তাই বয়সানুসারে ১-৩ গ্রাম আন্দাজ ডালিমের শিকড়ের ছাল গুঁড়া করে চুনের পানিসহ খেলে কৃমি দূর হবে। এটি ফিতাকৃমিতেও ভালো কাজ দেয়।
৪। ডালিম মূলে ট্রানিন রয়েছে, এটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতস্থানে নতুন কোষকলা সৃষ্টি করে এবং রক্তনালিকে সংকুচিত করে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। তাই যেসব মহিলা রক্তপ্রদরে ভুগছেন তারা ৩/৪টি ডালিম ফুল বেটে মধুসহ কয়েকদিন খেয়ে দেখেন উপকার বুঝতে পারবেন; এ ব্যবস্থা চালিয়ে গেলে ওটা সেরে যাবে।
৫। আবার যারা শ্বেতপ্রদরে ভুগছেন তাঁরা ৩/৪টি ফুল বেটে তাতে চন্দন ঘষা মিশিয়ে অল্প মধু বা পানিসহ সপ্তাহখানেক খেলে উপকার পাবেন।
৬। গর্ভসঞ্চারের ২/৩ মাসের মধ্যে গর্ভপাত বা গর্ভস্রাব হয়ে যায় যাদের তারা ডালিম পাতা বাটা চন্দন ঘষা ও মধুর সাথে দধি ভালোভাবে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন ঐ শঙ্কা আর থাকবে না।
৭। বিশেষ কোনো কারণ বা লক্ষণ ছাড়া অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়েতে থাকলে এমন অবস্থায় ডালিম ফুলের রস নাক দিয়ে টানলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
৮। রাতে যাদের ভালো ঘুম হয়না; প্রায়ই বড়ি খেয়ে ঘুমাতে যান, তারা ৩-৪ চা চামচ ডালিমের রসে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে ৩-৪ দিন খেয়ে দেখুন। নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবেন।
৯। ডালিম গাছের ছালে ট্যানিন যোগ আছে তাই উপদংশ বা বাগির ক্ষেত্রে ছাল গুঁড়া করে ছড়িয়ে দিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
১০। শিশুদের লিভার বেড়ে গেলে পেট বড় হয় এবং পেটের ডান দিকে চাপ দিলে ব্যথা বোধ হয়। এক্ষেত্রে ডালিমের মূলের ছাল আধা গ্রাম আন্দাজ গুঁড়া করে তার সাথে ২ চা চামচ দুধ ও ৪-৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খাওয়াতে হবে তার সাথে পথ্যের বিচারও করতে হবে। যেমন ঝাল, তেল-মশলা বাদ দিতে হবে।
Chemical Composition
Fruit juice contains- a) glucose b) fructose c) sucrose d) betasitostrerol e) triterpenoids f)citric & oxalic acid g) mineral matter, calcium, phosphorus, iron, sodium & postassium (said, 1996).
Fruit bask contains- a) tannin b) ellabic, citric & upsolic acids (Ghani, 2003).
COMMENTS